পানাগড় মোরগ্ৰাম রাজ‍্য সড়কে বিপদ বাড়ছে : সংস্কারের দাবী যাতায়াতকারীদের

3rd September 2021 6:28 pm বর্ধমান
পানাগড় মোরগ্ৰাম রাজ‍্য সড়কে বিপদ বাড়ছে : সংস্কারের দাবী যাতায়াতকারীদের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : গত কয়েকমাস ধরে বেহাল অবস্থা পানাগড় মোড়গ্রাম রাজ্য সড়কের।
পানাগড়ের দার্জিলিং মোড় থেকে বীরভূমের ইলামবাজার পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।আর সেই গর্ত বাঁচাতে লরির চালকরা দ্রুত গতিতে ডান দিক দিয়ে যাতায়াত করায় ঘটছে দুর্ঘটনা।গত কয়েকদিন আগে রাস্তার গর্তে মোটর সাইকেলের চাকা পরে যাওয়ার ফলে মোটর সাইকেল থেকে এক মহিলা আরোহী রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।এছাড়াও নিত্য দিন অন্ধকারে রাস্তার গর্ত বুঝতে না পেরে সাইকেল ও মোটর সাইকেল আরোহীরা পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন।
পানাগড়ের বাসিন্দা দিগন্ত মুখার্জি বলেন রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল,নিত্যদিন দুর্ঘটনা ঘটছে,এই রাস্তা দিয়ে সাইকেল মোটর সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে বর্তমানে। গাড়ি চালক নজরুল ইসলাম বলেন তার বাড়ি বীরভূমে। কাজের সূত্রে তাকে মাঝে মাঝে পানাগড়ে আসতে হয় কিন্তু যে ভাবে রাস্তায় গর্ত রয়েছে তার উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করলে ক্ষতি হোচ্ছে গাড়ির।দীর্ঘ প্রায় ৩মাসেরও বেশি সময় ধরে এই সমস্যায় ভুগতে হোচ্ছে তাদের। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল মহন্ত বলেন সাইকেল নিয়ে এই রাত দিয়ে চলা মনে জীবন হাতে করে চলা।দিনের বেলা তবুও যাতায়াত করা যায়।কিন্তু রাতের বেলা ভয়ানক ব্যাপার হয়ে ওঠে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত। তার দাবি প্রশাসন একটু নজর দিয়ে দ্রুত এই রাস্তার গর্ত গুলো বোজানোর ব্যবস্থা করুক। এই রাস্তার উপর দিয়েই নিত্যদিন যাতায়াত করেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধক্ষ গৌরাঙ্গ ঘোষ। তিনি স্বীকার করেছেন সমস্যার কথা।তিনি বলেন বর্ষার সময় মেরামতের কাজ হলেও তা ফলপ্রসূ হয় নি।রাস্তায় খানা খন্দের জন্য চলাচল দায় হয়ে পড়েছে।
এই বিষয়ে তারা উদ্যোগ নেবেন যাতে দ্রুত মেরামত করা যায়। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী জানিয়েছেন   বর্ষার আগেই মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু যে হারে বৃষ্টি হয়েছে এবছর তার কারণেই ফের নানা জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।তবে তারা দ্রুত এই বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন যাতে গর্ত গুলো দ্রুত মেরামত করা যায়।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।